উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি হাটে সরকারি জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উচ্চ আদালত থেকে বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এই হাটে দোকানঘর নির্মাণ ও বরাদ্দের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। কিন্তু হাটের সভাপতি ও সম্পাদক আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন। এতে সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বড়গাছি হাটে দোকানঘর নির্মাণ ও বরাদ্দের ব্যাপারে এক ব্যবসায়ী মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ দেয়া হয় রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর। পরে মামলাটি মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয় । এরই সূত্র ধরে মহামান্য হাইকোর্ট গত ৩০ আগস্ট বড়গাছি হাটের সরকারি জায়গার উপর দোকানঘর নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। একই সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসককে নির্দেশ প্রদান করেন । আদেশে রাজশাহীর পবার বড়গাছি হাটে দোকানপাট নির্মাণ ও বরাদ্দ কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। এরপরও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই হাটের সভাপতি ও সম্পাদক দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে বড়গাছি হাট কমিটির সভাপতি ইমদাদুল হকের সাথে মুঠোফোনে দোকান ঘর নির্মাণ ও নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞা টি বড়গাছি হাটের বিষয়ে নয়, এটি পাশ্ববর্তী বউ বাজারের দোকান ঘর নির্মাণ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে । তার বক্তব্যের সাথে রিট পিটিশনের নিষেধাজ্ঞার আদেশের কোনো মিল পাওয়া গেলো না । তাছাড়া তিনি জানান বড়গাছি দোকান ঘরের জায়গা সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) এর নিকট হতে লিজ নেওয়া হয়েছে । লিজকৃত দোকান ঘরগুলোর মধ্যে তিনিও একটি দোকান ঘর বরাদ্দ নিয়েছেন ।
বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, পবার বড়গাছি হাটের দোকানঘর নির্মাণ বিষয়ে উচ্চ আদালত যে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন সেটি আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। আদালত যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা সেভাবে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবো ।