বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে গবাদি পশুর এলএসডি লাম্পি স্কিন ভাইরাসজনিত চর্মরোগ। নয়া কণ্ঠ
প্রকাশিতঃ
বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩
১৩৬
বার পঠিত
বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে গবাদি পশুর এলএসডি লাম্পি স্কিন ভাইরাসজনিত চর্মরোগ
ছাব্বির হোসেন বাপ্পি ঃরাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে এলএসডি (লাম্পি স্কিন) বা ভাইরাসজনিত চর্মরোগ। এতে আক্রান্ত হয়ে গত এক মাসে শতাধিক গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ছোট ছোট খামারিরা যারা শখ করে পালন করে।
রাজবাড়ী জেলা ৫টি উপজেলায় রোগে আক্রান্ত গবাদিপোশু গোয়ালন্দ, কালুখালী ও পাংশা বালিয়াকান্দি, সদর উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে ১২নং সুলতানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এক মাসের মধ্যে এ রোগে শতাধিক গরু আক্রান্ত হয় ও মারা গেছে।
বালিয়াকান্দির জামালপুর ইউনিয়নের মাশালিয়া গ্রামের খামারি আনন্দ কর্মকার জানান, তার গাভীসহ বাছুরের শরীরে প্রচাণ্ড তাপসহ গুটি গুটি ফোঁড়া ও নাক দিয়ে পানি ঝরতে দেখতে পান। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে খাওয়ালে কিছুদিন পর গরুর শরীরে ঘা ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এর পর গাভীসহ বাছুর মারা যায়। এতে তার প্রায় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া এ রোগে গ্রামে আরও অর্ধশত গরু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮-১০টি গরু মারা গেছে।
নারুয়া গ্রামের খামারি মানিক হোসেন বলেন, তার খামারে গরু ও বাছুর মারা গেছে। তার বড় ক্ষতি হয়েছে। তার মতো অনেকের গরু মারা গেছে।
নারুয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ বলেন, তার একটি বড় গরু মারা গেছে। এতে তার ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আরও বেশ কয়েকজন গরু খামারি বলেন, আসলে হাসপাতালের সরকারি ডাক্তারদের না পেয়ে স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে থাকি। এ কারণে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে সম্পর্ক বা চেনাজানা হয় না।
বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মানবেন্দ্র মজুমদার বলেন, এলএসডি একটি ভাইরাসজনিত চর্মরোগ। মূলত এ রোগ মশা ও মাছির দ্বারাই গবাদিপশু আক্রান্ত হয়। এ রোগ দেশের সবখানেই ছড়িয়ে পড়েছে। ভ্যাকসিন
সংকট হওয়ার কারণে একটু হিমশিম খাচ্ছি। তবে আক্রান্ত পশুর মৃত্যুহার বেশি হওয়ার কথা নয়। এর চিকিৎসা কোনো গবাদিপশু আক্রান্ত হলে শুধু নাপা ও ভিটামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানোসহ ভালো যত্ন নিতে হবে।
রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক সরদার বলেন, এ রোগে বেশকিছু গরুর মৃত্যু হয়েছে। ভ্যাকসিন দ্রুতই আমরা দিতে পারব বলে আশা করছি। আক্রান্ত গরুর যত্ন নিলে ভালো হয়ে যায়। আর হাতুড়ে ডাক্তারদের কারণে বেশি সমস্যা হচ্ছে। আমরা দ্রুতই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।