হাফিজুর রহমান ঃ রাজবাড়ি
রাজবাড়ির কালুখালিতে আদিবাসী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির জায়গা জোরপূর্বক জবরদখল করে,রাতের অন্ধকারে তাদের বসতবাড়ী ও দোকানঘর ভাংচুর করে পুকুরে ফেলে দেওয়া সহ নানাবিধ অভিযোগ ওঠেছে,স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আদিবাসীদের দাবী বার বার উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেওয়া হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসন বলছেন,তারা কোন লিখিত অভিযোগ পাননি।
জেলার কালুখালি উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের কাঠাবাড়ি গ্রামে ৩৫ থেকে ৪০ ঘর আদিবাসী পরিবারে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন মানুষের বসবাস। দীর্ঘদিন যাবত তাদের জায়গা জমি, বসতবাড়ী,দোকানঘর জবরদখল সহ তাদেরকে স্বপরিবারে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যে দখল করে নিয়েছে কয়েকজন আদিবাসীর জায়গা-জমিসহ বসতবাড়ী। এতে সর্বত্র হারিয়ে দিশেহারা হয়ে রাস্তায় দাঁড়ানোর উপক্রম হয়েছে আদিবাসী পরিবার গুলোর।
আদিবাসীদের অভিযোগ,রাতের অন্ধকারে
জায়গা-জমি দখল করে বসতবাড়ী ও দোকানঘর ভাংচুর করে পুকুরে ফেলে দিয়ে, পুরো পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিসহ এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেছে তারা।
এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এলাকাবাসী বলছেন,এই জায়গা,বসতবাড়ী ও দোকানঘরের প্রকৃত মালিক হলো আদিবাসীরা। এলাকার সুদখোর গুটি কয়েকজন ব্যক্তি নিজের সার্থ বাস্তবায়ন করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত নানা কৌশল অবলম্বন করে আদিবাসীদের জায়গা দখল সহ উচ্ছেদ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
তবে তদন্ত সাপেক্ষ দোষিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন ব্যবস্থা গ্রহন করার আশ্বাস দিয়েছেন কালুখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোঃ সজিব খান।
সংখ্যা ঘরিষ্ঠ আদিবাসী হওয়ায় কেন? তাদের উপর এত নির্যাতন অবিচার করা হচ্ছে। এমন প্রশ্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর। পরে সঠিক বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।