1. sheikhrobirobi008@gmail.com : dailynayakontho :
  2. nayakontho@gmail.com : nayakontho :
  3. admin@dailynayakontho.com : unikbd :
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মামলা না থাকার পরেও সাংবাদিককে গ্রেফতার কেনো বিএমএসএফ আমতলীতে শ্রমিক দল সভাপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ আমতলীতে বজ্রপাতে এক গৃহবধূ নিহত আহত ১জন রাজশাহীতে জমি দখল করতে না পেরে মিথ্যা বিস্ফোরক মামলা  আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় হারানো মোবাইল ফোন ফিরে পেলেন প্রকৃত মালিকরা রাজশাহী মহানগরীতে বিশেষ অভিযানে ২ জনসহ অন্যান্য অভিযোগে গ্রেপ্তার ২৩ জন চাকরিক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবি ইবির বিএমই বিভাগের শিক্ষার্থীদের আরএমপি’র চন্দ্রিমা থানার ওসির বিরুদ্ধে আইনজীবীদের মানববন্ধন ঘাটাইল সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থী নিহত আরএমপি’র অভিযানে গাঁজা ও চোলাইমদ উদ্ধার; গ্রেপ্তার ২

রাজশাহীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুহাট। ডেইলি নয়া কণ্ঠ

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪
  • ১৭০ বার পঠিত

রাজশাহীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুহাট

রাজশাহী ব্যুরো ঃ পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর কোরবানির হাটগুলো জমে উঠেছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ গরুর হাট সিটি বাইপাশ হাটে গত রবিবার থেকে গরুর কেনা-বেচা বেশ জমেছে বলে দাবি করেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। ঈদের বাকি কয়েকদিনও বেচা-কেনা আরও বাড়বে বলেও আশা করছেন তারা। ফলে কোরবানির পশু আর ক্রেতা-বিক্রেতাদের চলাচলে মূখোর হয়ে উঠেছে রাজশাহীর সিটি বাইপাশ হাট। এর বাইরে উপজেলা পর্যায়ে ( বানেশ্বর , কাটাখালী , তাহেরপুর , ঝলমলিয়া, কাকনহাট, মহিষালবাড়ি ) সাপ্তাহিক হাটগুলোতেও পশু কেনা-বেচা শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হাটগুলোতে ভারতীয় গরু তেমন চোখে পড়েনি। অল্প কিছু পরিমাণ আসলেও সেগুলো বাংলাদেশী গরু বলে ছাড়পত্র নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

রাজশাহীর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীতে গতবারের চেয়ে এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা বেড়েছে। জেলায় প্রায় ৫ লাখ  পশু প্রস্তুত ছিলো। যেগুলো এরই মধ্যে কেনা-বেচা শুরু হয়েছে।  ছোট-বড় মিলিয়ে সাড়ে ১৭ হাজার খামারে ও বিভিন্ন বাসাবাড়িতে এবার পশু লালন-পালন করা হয়। এর মধ্যে ৮৩ হাজার গরু, তিন হাজার ৮০০ টি মহিষ ও সাড়ে তিন লাখ  ছাগল রয়েছে। গত বছর জেলায় প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার  পশু কোরবানি করা হয়। এবারও কোরবানির পশুর চাহিদা একই রয়েছে। ফলে বর্তমানে জেলায় চাহিদার তুলনায় দেড় লাখের মতো  পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। কোরবানির আগে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

গতকাল রাজশাহীর সিটি হাট  সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এ হাটে গতকাল প্রায় ২০ হাজার গরু-মহিষ জমা হয় কেনা-বেচার জন্য। কোথাও যেন পা ফেলার জায়গা নাই। চারিদিকে যেদিকে নজর যায় গরু আর গরু। মাঝে মাঝে কিছু মহিষও চোখে পড়ে। গরু-মহিষগুলো বড় বড় ভুটভুটি, ট্রাক বা পিকআপে করে হাটে জড়ো করা হয়েছে। কেনা-বেচা শেষে আবার সেসব পরিবহণে করেই পশুগুলোকে নিয়ে যাওয়া হবে দেশের বিভিন্ন স্থানে। বিশেষ করে যেসব পশু বিক্রি হবে সেগুলোর অধিকাংশ যাবে দেশের দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন স্থানে।

ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, এবার একেকটি গরু গড় মণ হিসিবে ৩০ হাজার টাকার কিছু কম আর বেশি দরে কেনা-বেচা হচ্ছে। তবে ছোট আকারের (৩-৪ মণ) ওজনের গরু গড় মণ ৩৫-৩৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এ হাটে গরু বিক্রি করতে আসা রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ললিতনগরের চাঁদলাই এলাকার খামারি মিজান বলেন, ‘এবার আমি ৬ টি গরু লালন  পালন করেছি। গতবারের চেয়ে এবার কোরবানির পশুর দাম একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এবার পশু পালনে খরচও বেশি হয়েছে। খরচ বেশি হওয়ার কারণে দাম একটু বেশি হচ্ছে। তার পরেও খামারিদের লাভের পরিমাণ গত বারের চেয়ে কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’

পবার মুশরইল এলাকার খামারি রবিউল ইসলামের খামারে ৫টি গরু ও দুইটি মহিষ রয়েছে। গরুগুলো তিনি ৫ মাস ও মহিষ ৬ মাস ধরে লালন-পালন করেছেন। এখন সেগুলো বিক্রি করতে শুরু করেছেন। বাড়ি থেকেই দুটি গরু দুটি মহিষ বিক্রি হয়েছে। গতকাল হাটে বাকি তিনটি গরু নিয়ে এসেছিলেন বিক্রি করতে।

দুর্গাপুরের খামারি সুনীল বাবুর খামারে ৬ টি গরু পালন করেছেন । ১ টি গরু বাড়িতেই বিক্রি হয়েছে । বাকি ৫ টি গরু ঈদের আগে বিক্রি করতে পারলে তার অনেক উপকার হবে

তিনি বলেন, এবার গরু-মহিষ এমনকি ছাগলের দামও বেশি। কিন্তু গত বারের চেয়ে এবার খরচও বেশি হয়েছে। সেকারণে দাম বেশি হলেও আমাদের লাভের পরিমাণ তেমন বাড়েনি। তার পরেও যা দাম পাওয়া যাবে আশা করছি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে পুরো একটা বছর আরামে কাটাতে পারব।’

খামারিরা আরও বলেন, ‘এই পশুগুলো বিক্রি করে আবার  গোয়ালে গরু-মহিষ তুলতে হবে। গোদাগাড়ী ললিতনগরের মিজান বলেন ,  খামার করে সংসার চালাচ্ছি। আমার পেশায় এটি। আমার মতো এভাবে অনেকেই সংসার চালান খামার করে। এতে করে একটি মেয়ের ভালো জায়গায় বিয়ে দিয়েছি । আর একটি মেয়েকে কলেজে লেখাপড়া করাচ্ছি । তাতে একজন চাকরিজীবীর চেয়ে কোনো অংশেই কম আয় হয় না আমার।’

রাজশাহীর সিটি হাটে গরু কিনতে আসা ঢাকার নয়াপল্টনের  ব্যবসায়ী সানাউল বলেন, কোরবানির হাট জমতে শুরু করেছে। কিন্তু এবার পশুর দাম যেভাবে বেড়েছে, সেই হিসেবে বেশি কিনতে সাহস পাচ্ছি না। ঢাকার বাজার এবার কেমন যাবে-এখনোই কিছু বলা যাচ্ছে না। তার পরেও আমরা পশু কিনছি। এগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে উঠাবো। বাকিটুকু আল্লাহ ভরসা।’

তিনি বলেন, কোরবানিকে টার্গেট করেই অধিকাংশ খামারিরা গরু-মহিষ পালন করেন। এই সময়ে তাদের একটু বাড়তি আয় না হলে তারা আগ্রহ হারাবেন। তাই যেহেতু কোরবানির উদ্দেশ্যে আমরা  পশু কিনি , সে হিসেবে লাভ- লোকসানের হিসেব না করে খামারিদের কথা ভেবে দেখা উচিত আমাদের দেশের ক্রেতাদের।

রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালু বলেন, গত বছর এই হাটটি ৩,৫০,০০০০০/ টাকা  ইজারা থাকলেও এবার  ৩,৬১, ০০০০০/ টাকা তে ইজারা হয় । এতে উদ্বৃদ্দ ১১০০০০০ /  টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে ।  সাথে  আয়কর, ভ্যাট , বাবদ ৯০০০০০০/ টাকা দিতে হয়েছে । তবুও ক্রেতাদের স্বার্থে  পশুর ছাড়পত্রের টাকা বৃদ্ধি করা হয় নাই । সপ্তাহে রোববার ও বুধবার সিটি হাট বসে। তবে কোরবানি উপলক্ষে বুধবারের পর থেকে প্রতিদিনই হাট বসবে বলে তিনি জানান । সিটি হাটের পাশাপাশি প্রতিদিন বিভিন্ন হাটে  কোরবানী উপলক্ষে পশু আমদানি হওয়ায় সিটি হাটে ইজারার তুলনায় আয় অনেকাংশে কমে গিয়েছে।  হাটের জনবল আগের মতই রয়েছে । ইজারাদার আরো জানান , ঈদ উপলক্ষে কর্মচারীদের খরচ বাদেও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে দান – খয়রাত করতে হয় । প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোরবানী ঈদে সিটি হাটের পাশ্ববর্তী হাটসমূহে পশু নামানো বন্ধ করা হলে সিটি কর্পোরেশন সংলগ্ন সিটি হাটটি কোরবানির একমাত্র পশু হাট  হিসেবে সারা দেশে প্রচার লাভ করতো । তবে তিনি মনে করেন , রাজশাহীতে বিগত বছরের তুলনায় কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকবে । তবে এবার যেহেতু উৎপাদন খরচ বেশি, দামও কিছুটা বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।’

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
২০২৫ © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed By UNIK BD