নেত্রকোনা ৪- আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন মমতাজ চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক
বুধবার ১৮ জুলাই নেত্রকোনা ৪ – আসনের উপনির্বাচনের জন্য আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর কার্যালয় ধানমন্ডি ৩/এ তে প্রায় ৫০০ শত নেতা কর্মীর একটি বহর নিয়ে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে মনোননয়ন ফরম জমা দিয়েছেন আওয়ামীলীগ এর শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য ও ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জেদ্দা সৌদিআরব শাখা’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ হুসেন চৌধুরী।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করেন। একাধারে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধাও, তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর সৌদিআরব এর জেদ্দাস্থ কিং আব্দুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এর একজন কর্মকর্তা হিসেবে চাররীরত ছিলেন। সেই সুবাদে তিনি প্রবাসে আওয়ামী রাজনীতি শুরু করেন।
জানা যায়, তিনি সৌদি রাজনীতিতে হয়ে ওঠেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
যদিও সৌদিআরব একটি রাজতন্ত্র দেশ হিসেবে সেখানে রাজনীতি নিষিদ্ধ। তারপরও ডাক্তার ওয়াদুদ, মমতাজ চৌধুরীরা সেখানে কৌশলে রাজনীতি শুরু করলেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ নামের ব্যানারে। ১৯৯২ সালে শেখ হাসিনা উমরা করতে গেলে সেই কমিটির অনুমোদন দেন। এরপর থেকেই পথচলা। এখন সৌদি আওয়ামীলীগ এবং আওয়ামী ১০ সংগঠন নামে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত। আগের চেয়ে এখন অনেক শক্তিশালী সেখানের আওয়ামীলীগ। সবই হয়েছে মমতাজ চৌধুরীদের মত ত্যাগী আওয়ামীদের কারনে ।
এক প্রশের জবাবে মমতাজ চৌধুরী নয়া কণ্ঠ কে জানান, আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নাই। আমার বাবা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, আমি নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা, দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সংগ্রাম করে এই দেশ স্বাধীন করেছি। এর চেয়ে বেশি চাওয়া আমার আর নাই।
বিদেশে আপনার রাজনীতিতে ভূমিকা কি ছিলো এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এয়ারলাইন্স এ চাকরীর সুবাদে সৌদি জেদ্দাহ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এ দীর্ঘদিন যাবৎ ছিলাম, সেই সুবাদে সৌদিআরবে আওয়ামীলীগ এর জেদ্দা শাখার সেক্রেটারি পরবর্তিতে সভাপতি নির্বাচিত হই।
তিনি জানান, সৌদি থাকা অবস্থায় সেখানে দলকে সুসংগঠিত করি,সে সময়টা আওয়ামীলীগ এর কর্মী পাওয়া বড় দুষ্কর ছিলো, তার মধ্যেও আমরা হাল ছাড়িনি, আজ সেখানে হাজার হাজার নেতা কর্মী।
প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যখন প্রবাসে ছিলাম, তখন দেখেছি প্রবাসে আমাদের বাঙ্গালী ভাইয়েরা কত কষ্টে জীবন যাপন করে। দলের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে প্রবাসীদের পাশে থেকে তাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছি এবং সরকারী উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে কৌশলগত পলিসি এপ্লাই করে প্রবাসীদের সমস্যার সমাধান করিয়েছি।
নির্বাচনে জয়ী হয়ে কি ইচ্ছা সম্পূরক এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমত আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশ গঠনে শেখ হাসিনার পাশে দাড়াতে চাই, বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার বাস্তবায়নে সরকারের অংশ হিসেবে কাজ করতে চাই, ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করে সরকারকে সহযোগীতার মাধ্যমে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ যেন একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে পরিচিতি পায় সে লক্ষ বাস্তবায়নে কাজ করতে চাই।
এলাকার কি কি উন্নয়ন করতে চান, এই প্রশ্নের উত্তরে মমতাজ চৌধুরী বলেন, এলাকার মানুষের মানোন্নয়নে যা যা করার দরকার সব করতে চাই, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, ব্রীজ, কালভার্ট, স্বাস্থ্য চিকিৎসা, ভাটি অঞ্চলের মানুষের সকল ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান করাটায় হবে আমার প্রধান লক্ষ, যাতে করে মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলো পূরণে কোনো বাধা না থাকে, সমাজ থেকে দুর্নীতি অপশাসন, সন্ত্রাস, মাদক, সামাজিক বিভিন্ন অপরাধ দূর করা এগুলো আমার মূল টার্গেট যদি আল্লাহ সহায় হোন,আর শেখ হাসিনার দয়া হয়।
প্রবাসীদের জন্য কি করার ইচ্ছা আছে, এবিষয়ে তিনি জানান, আমি জনপ্রতিনিধি হয়ে সংসদে গেলে, প্রবাসে মানুষের কি কি সমস্যা এবং কোন উপায়ে সমাধান করা যায়,যেহেতু আমি প্রবাসে থেকেছি এবং সেগুলোর ফেইস হয়েছি, তাই আমি সংসদে প্রবাসীদের মূল সমস্যার কথা গুলো তুলে ধরবো এবং সে অনুযায়ী যাতে কাজ হয় সে ব্যাপারে আমি সরকারকে সহযোগীতার মাধ্যমে পদক্ষেপ বাস্তবায়নে কাজ করবো।