
রামগতিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বেড়িবাঁধে ধ্বস শতাধিক কাঁচাঘর বিধ্বস্ত
ফিরোজ আলম পরশ, রামগতি (লক্ষীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষীপুরের রামগতিতে ঘর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ১৯৮ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত কাঙ্খিত বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্পটে ধ্বস দেখা দিয়েছে। এতে জনমতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মেঘনানদী ঘেঁষা ৭টি ইউনিয়নের কয়েকশ কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার রাতে সাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধিতে বিশেষ করে চরগাজী, বড়খেরী, চররমিজ, চরআবদুল্লাহ ও আলেকজান্ডার ইউনিয়সহ শতাধিক বেশি কাঁচারাস্তা নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া পানির তীব্রতা বেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে ফসলের প্রস্তুতকরা শত শত হেক্টর ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে। ফসলাদিসহ বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে।
মাইনউদ্দিন সমাজ রোড, সানুরোড, টিসি রোডসহ ১২টি কাঁচাসড়ক বিধ্ববস্ত হয়। চররমিজ ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য বিবিরহাট থেকে খোনার বাড়ি পর্যন্ত পাকা রাস্তা , রফিক জমিদারের ব্রিকফিল্ড থেকে ছেরুগো বাড়ি পর্যন্ত কাঁচাসড়ক ও ভুইয়ারহাট থেকে চৌমুহনী শিলকোপ রাস্তা কাঁড়া সড়ক ক্ষতিগ্রস্তসহ ১০ থেকে ১৫টি কাঁচারাস্তা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়। এদিকে চরআবদুল্লাহ ২১টি কাঁচারাস্তা, আলেকজান্ডার ইউনিয়নে ৮টি কাঁচাসড়ক ও বড়খেরীতে বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসান মাহমুদ, আবদুল কাইয়ুম ও নুরুল আমিন মাস্টার কাঁচাসহ কাঁচাসড়ক সহ প্রায় ১৫টি কাঁচারাস্তা নষ্ট হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা।
চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাওহীদুল ইসলাম সুমন জানান, মেঘনা নদীর মোহনায় হওয়ায় দ্রত পানি উঠে তার ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে প্রায় ১৪ কাঁচাঘর সম্পূর্ণ বিধ্ববস্ত হয়ে গেছে। এছাড়া প্রায় হাজারেরও বেশি বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা প্রশাসন থেকে সরকারী বরাদ্ধ পেলে সুশম বন্টনের মাধ্যমে তাদের মাঝে বিতরণ করবো বলে জানান। তিনি আরও বলেন , ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে জেলে ও কৃষক শ্রেণির মানুষ , তারা পুনরায় তাদের নির্ধারিত জিবিকার মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এর আগে সরকারী বরাদ্ধ পেলে তাদের জন্য বেশ সহায়ক হবে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মোঃ আমজাদ হোসেন জানান, রামগতি নদী সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন গুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কমিটিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সিপিসি সদস্যরা আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। বিশেষ করে দুর্গম চরগজারিয়া এলাকার জন্য আমাদের বিশেষ টিমে কাজ করেছে। যাতে মানুষের জানমাল রক্ষায় কোন ত্রুটি না হয়। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ হাজার মানুষের শুকনো খাবার (চিড়া, মুড়ি, চিনি, বিস্কুট ও মোমবাতি) দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রান্নাকরা খাবারের ও বিশাল আয়োজন।