ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ আসার পূর্বে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ড্রেন পরিষ্কারের উৎসব দেখা দিয়েছে । এ বিষয়ে সুপারভাইজার সজলের সাথে কথা বলে জানা গেল , কোরবানী ঈদের পূর্বেই ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ড্রেনগুলো পরিষ্কারের জন্য কাউন্সিলর মহোদয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সে আলোকে পরিচ্ছন্ন কর্মী দ্বারা ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সকল ড্রেন পরিষ্কারের অভিযান শুরু হয়েছে । আবার কোরবানী ঈদের পরপরই পুনরায় ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হবে বলে জানান ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিচ্ছন্ন কর্মী জানান , তারা দৈনন্দিন ৪৬০/ টাকা মজুরিতে কাজ করে থাকেন । এতে করে তাদের পরিবার নিয়ে দিন চালানো অনেক কষ্টকর হয়ে পরে । এই ড্রেন পরিষ্কারের কাজটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক । ৮/১০ টি স্লাবের মুখ খুলে ড্রেন পরিষ্কার করলেই সারাদিন চলে যায় । এই কাজের পাশাপাশি অন্য কোনো কাজ করে দুটো টাকা যে আয় করবে সেটাও হয় না । দিন দিন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হলেও তাদের মজুরি বৃদ্ধি হয় না, এতে করে পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করতে হয় । বর্তমান বাজারে একজন রাজমিস্ত্রির মজুরি ৮০০/ ১০০০ টাকা । কিন্তু ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দিন মজুরি ৫০০/ টাকার উপরে নয় ।
পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাজ করার জন্য কোনো পোশাক দেখা গেলো না । মানধাত্তা আমলের বিভিন্ন পোশাকে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের এই ডিজিটাল বাংলাদেশে মানানসই দেখাচ্ছে না । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকল পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ওয়ার্ডের লোগো সম্বলিত পোশাক সরবরাহ ও দিনমজুরি ১০০০/ টাকা নির্ধারণ করা উচিত বলে অনেকে মনে করেন ।