বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ চলে গেলে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জেনারেটর ব্যবস্থা
স্টাফ রিপোর্টার
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।প্রায় আড়াই লাখ জনগণের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে ৫০ কেভি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর থাকলেও তেলের জন্য তা বন্ধ থাকে।কোন কারণে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকলে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা রাতে আলোহীন মশারি ছাড়া বেডে শুয়ে আছে। বিদ্যুৎ নেই, জেনারেটর থাকলেও ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়( ৬জুলাই) বৃহস্পতিবার রাত ৩ টার দিকে রোগীরা বেডে শুয়ে গরমে অস্থিরতা প্রকাশ করছে। মশারি বিহীন মশাড় কামড়ে অতিষ্ঠ রোগীরা বিভিন্ন অভিযোগ করছে।
এ বিষয়ে রিসিপশনে কর্তব্যরত নার্সদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জেনারেটর এর তেলের কোন বাজেট নাই। রোগীদের পাশাপাশি তারাও কষ্ট অনুভব করছেন। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বিদ্যুৎ ও জেনারেটর বিহীন হাসপাতালে গরমে পুরোই হাঁসপাস অবস্থা। মশারীর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। ডেঙ্গু আতংকে ভুগছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
ভর্তি হওয়া রোগীদের চরম কষ্টে পার করতে হচ্ছে সময়। বিদ্যুৎ না থাকলে দিনের বেলা কষ্টে দিন পার করলেও রাতে মোমবাতি অথবা মোবাইলের আলোয় অন্ধকার নিবারণ করতে হয়।
রোগীরা জানান, আমাদের অন্ধকারে চলতে ফিরতে কষ্ট হচ্ছে,। কারেন্ট না থাকায় ঘুমাতে পারছি না। মশার যন্ত্রনায় আমরা অতিষ্ঠ।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাসির উদ্দীনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের হসপিটালে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর থাকলেও তেলের বাজেট না থাকায় সব সময় জেনারেটর চালানো সম্ভব হচ্ছে না।শুধু আমরা বিদ্যুৎ না থাকলে ওটি’র কাজে জেনারেটর চালায়। তিনি আরো জানান, আমাদের জেনারেটর এর তেলের বাজেট একেবারে নাই বললেই চলে, আমাদের গাড়ীর তেলও দেওয়া হয়না অভিযোগ করে বলেন, মাঝে মধ্যে আমার নিজের টাকায় তেল কিনে জেনারেটর চালায়, আমার পক্ষে আর এভাবে সম্ভব নয়।