
রাজবাড়ী থেকে হাইকোর্টের ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা পারভিন গেপ্তার
রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি
কৃষ্ণ কুমার সরকার
রাজবাড়ী থেকে হাইকোর্টের ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে মুক্তা পারভিন (৩৪) নামে এক নারী প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০ সদস্যরা। তাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ী জেলা শহরের অনুপম মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুক্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চাকুরী দেবার প্রলোভনে এক কোটি বিশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেতার অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত মুক্তা পারভিন নওগাঁ জেলার ধামইরহাট থানার লোদীপুর গ্রামের মোঃ মোজাহারুল ইসলামের মেয়ে। মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানায় র্যাব-১০।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজশাহীর বোয়ালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় একটি সংঘবন্ধ প্রতারক চক্র নিজেদেরকে কখনও হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট কখনও ডিজিএফআই এর মেজর ইত্যাদি পরিচয় দিয়ে সহজ সরল ও নিরীহ লোকজনদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। চক্রটি রাজশাহী জেলার চন্দ্রিমা থানাধীন ছোটবনগ্রাম এলাকার শেখ আব্দুল্লাহ (৩৭), পিতা-মৃত ইমাম শেখ এর নিকট হতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরি পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে সর্বমোট এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। একপর্যায় ভিকটিম শেখ আব্দুল্লাহ বুঝতে পারে যে সে প্রতারনার স্বীকার হয়েছে। পরবর্তীতে ভিকটিম শেখ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা মুক্তা পারভিনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। (যার মামলা নং-০৩, তারিখ- ০৩/০৩/২০২৪ইং, ধারা- ১৭০/৪২০/৪০৬/৪৬৭/৪৬৮/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড)। মামলা দায়েরের বিষয়টি জানতে পেরে চক্রটির সকল আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।
ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব -১০ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত প্রতারক চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ এপ্রিল দুপুর সোয়া ২ টার দিকে র্যাব-১০ এর আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ী জেলার সদর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে ভূয়া হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মুক্তা পারভিন কে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মুক্তা প্রতারনাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা বলে স্বীকার করেছে। সেই সাথে মুক্তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।