সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের সাথে নিয়ে একুশে পদকজয়ী জিয়াউল হককে ক্যাবের শ্রদ্ধা
মোস্তাফিজুর রহমান,রাজশাহী ব্যুরো
বিশিষ্ট সমাজ সেবক এবং একুশে পদকজয়ী জিয়াউল হককে শ্রদ্ধা জানাতে ক্যাব আয়োজন করে বেকিং কোলাবোরেশনের।
এর মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের মাঝে কেক বিতরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারি,২০২৪ তারিখ বিকাল ৪ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের পিটিআই বস্তিতে অর্ধশত সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চার মাঝে কেক বিতরণ করা হয়। কেকটি শহীদ মিনারের বিশেষ থিমে বানানো হয় যার শতভাগ ছিল ভক্ষণযোগ্য। কেকের ব্যক্তিক্রমী এই ডিজাইন ছিল বাচ্চাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বেকিং কোলাবোরেশনে অংশ নেন ক্যাবের ৫ উদ্যোক্তা- মারুফা ইয়াসমিন, প্রজ্ঞা লিজা, জোহায়রা রাইসা , সুপ্তি এবং আবিদা রেজা। এর আগে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেকারদের নিয়ে প্রথমবারের মতো ক্যাব আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়।
জিয়াউল হক সারা জীবন চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। দই বিক্রির অর্থ দিয়ে পাঠাগার স্থাপন করেছেন। বাচ্চাদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে একুশে পদক গ্রহণ করেন। তার এই অর্জন চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীকে বিরল সম্মান এনে দিয়েছে। তাই তাকে সম্মান জানাতে ক্যাবের এই আয়োজন। এই আয়োজনের মাধ্যমে তারই জীবন দর্শন অনুসরণ করে কিছু সুবিধা বঞ্চিত বাচ্চাদের মাঝে কেক বিতরণ করা হয়। তাদের বিনোদনের জন্য তাদের সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করা হয়। এসময় ক্যাবের অন্যান্য সদস্য ও সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
পিটিআই বস্তিতে অবস্থিত সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চারা এর মাধ্যমে চাঁপাইবাবগঞ্জের একজন আলোকিত ও সাদা মনের মানুষ সম্পর্কে জানলো। এই বাচ্চাদের অক্ষরজ্ঞান দিচ্ছেন এমন এক শিক্ষিকা কস্তুরি মেডাম জানান,” এই ধরনের আয়োজনে বাচ্চারা শুধু খাওয়ার আনন্দই পেল না, বাচ্চারা নিজেদের জেলার আলোকিত মানুষ সম্পর্কে জানলো।” এই কোলাবোরেশনের কো-অর্ডিনেটর প্রজ্ঞা লিজা বলেন,” জীবদ্দশায় ভালো মানুষকে আমরা সম্মান জানাতে কার্পণ্য করি। এই সংস্কৃতি ভাঙতেই ক্যাবের এই ব্যতিক্রমী আয়োজন।”